ক্লায়েন্টের মেসেজ বা রিকয়ারমেন্ট দিলে বা না দিলে কি করবেন ?

ক্লায়েন্টে মেসেজ বা রিকয়ারমেন্ট দিলে বা না দিলে কি করবেন ?

 

নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্লায়েন্টের মেসেজ পেলে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিধাদ্বন্দে থাকি যে ক্লায়েন্টকে কিভাবে মেসেজ করলে জবটা নিতে পারবো।  বা কোন ধরণের মেসেজ দেয়া উচিত যাতে ভালো বাজেটের জবটা হাতছাড়া যাতে না হয়।  

ক্লায়েন্টের মেসেজ বা রিকয়ারমেন্ট দিলে বা না দিলে কি করবেন ?

১। ক্লায়েন্ট যদি তার কি ধরণের কাজ করে দিতে হবে এমন মেসেজ করে দেখবেন কোনো ওয়েবসাইটের লিংক বা ডেমো দিয়েছে কিনা , প্রয়োজন অনুযায়ী চেয়ে নেবেন।  আরএইচাওয়ারমাধ্যমেক্লায়েন্টভাববেআপনিতারকাজেরপ্রতিআগ্রহী।  

২। আগের কাজ করা কোনো ওয়েবসাইট আছে কিনা, কোন প্লাটফর্মে করা হয়েছে সেগুলো জিজ্ঞেস যতটুকু পারবেন জিজ্ঞেস করে নেবেন। রিকোয়ার্মেন্ট না জেনে বাজেট   বলা ঠিক হবেনা।  

৩। ক্লায়েন্ট কনভারসেশন করার ভালো উপায় হচ্ছে ক্লায়েন্টকে প্রশ্ন করা। ক্লায়েন্টের প্রশ্নের উত্তরের সাথে নিজের একটা প্রশ্ন জুড়ে দেবেন। তবে প্রশ্ন টা যেন প্রাসঙ্গিক হয়।

৪। যতক্ষণ পর্যন্ত কাজ টা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা না পাচ্ছেন আপনার যা জানা প্রয়োজন  ক্লায়েন্টকে জিজ্ঞেস করে যাবেন। এতে করে ক্লায়েন্ট যা উত্তর দেবে কাজ নিয়ে সেটার বাইরে আপনাকে অতিরিক্ত কাজ করতে সাহস পাবে না।

৫। কাজ পুরোপুরি বুঝে নিয়ে বাজেট এবং কতক্ষন সময় দেবেন তা জানাবেন । আগে বাজেট বললে পরে আপনাকে জবটাতে কি করতে হবে এই প্রশ্ন করাটা তখন বোকামি।

৬। একই কাজে কেউ বাজেট বেশি বলে আবার কেউ কম। আপনি আপনার স্কিল এবং এফোর্ট অনুযায়ী যেই বাজেটে কাজ করতে ইচ্ছুক সেটি জানাবেন, তবে কাজের ধরণ অনুযায়ী।

৭। বাজেট বেশি বললে ক্লায়েন্ট জব নাও দিতে পারে এই ভয়ে  বাজেট কম বলে মার্কেট খারাপ করবেন না।

৮। ভালো ফিডব্যাক এবং রেটিং এর দিকটা চিন্তা করবেন, মানে এমন কাজ নেবেন না যা আপনি করতে পারবেন না।  সাথে দীর্ঘদিন কাজ করার মানুষিকতা তৈরী করতে হবে।  দেখবেন একই কাজে আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বাজেট বাড়াতে পারছেন। আপনার ক্লায়েন্ট আপনার পোর্টফোলিও দেখে মূল্যায়ন করবে, বাজেট ভালো দেবে। 

৯। সময়ানুযায়ী কাজ শেষ করাটা খুবই জরুরি। আমরা অনেকেই ৭  দিনের কাজে প্রথম ৩/৪ দিন  তেমন কোনো কাজ করিনা।   সময় ঘনিয়ে আসলে কাজটা তাড়াহুড়া করে শেষ করতে চাই।  এতে কাজের মান ভালো হয়না।  ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি অনীহা আসে।  

১০। যদি কোনো কাজে ৭ দিন সময় পান কখনো সেই কাজ 1/2 দিনে করে দেবেন না। যদি কাজটা তাড়াতাড়ি করে জমা দেন , ক্লায়েন্ট আপনাকে  সময় থাকার কারণে আরো কাজ হাতে ধরিয়ে দিতে পারে।  

১১। কাজ সম্পন্ন হলে সাথে সাথে ডেলিভারি না দিয়ে ক্লায়েন্টকে  মেসেজ করে ফিডব্যাক নিন যদি কাজে কোনো পরিবর্তন করতে হয়। কাজ ডেলিভারি করা মানে কাজটি সম্পূর্ণ রূপে শেষ হয়েছে , যা ক্লায়েন্টের চোখে নাও হতে পারে।  চেষ্টা করবেন ফাইনাল কনফার্মেশন নিয়ে ডেলিভারি দিতে।  যদি ক্লায়েন্টের রিপ্লাই না পান সে ক্ষেত্রে কাজ ডেলিভারি দিয়ে ক্লায়েন্টকে মেসেজ করে জানাতে পারেন। 

১২। কাজ ডেলিভারি করার পরও পরবর্তী ২ দিন ক্লায়েন্টকে মেসেজ করার চেষ্টা করবেন যে কাজে কোনো পরিবর্তন থাকলে আপনি তাকে সহযোগিতা করবেন।

উপরের কথাগুলো আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলা। আমি নিশ্চিত, এই কথাগুলো আপনাদের অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যাবে। নতুনদের কাজে লাগবে আশা করছি। 

ফরিদ রনি
শিখবেসবাই মেন্টর , ফ্রিল্যান্সার