ফাইভারে কোনো গিগ বানানোর পর কি কি করণীয়।

ফাইভারে কোনো গিগ বানানোর পর কি কি করণীয়।

ফাইভারে গিগ বানানোর পর কেউ কেউ অনেকদিন যাবৎ গিগ-এ প্রথম অর্ডারটি পেতে। আবার অনেকেই খুব দ্রুত বায়ার থেকে অর্ডার পেয়ে যায়।  অনেকের ক্ষেত্রে কয়েকটি  ফাইভার অর্ডার আসার পর অর্ডার আসা বন্ধ হয়ে যায় এবং ইম্প্রেশন কমে যায়। একটা ব্যাপার তো ক্লিয়ার যে এগুলোর স্পেসিফিক কোনো সলুশন নাই। সলুশন একটাই, তা হচ্ছে রিসার্চ। নিচের পয়েন্টগুলোর মাধ্যমে আমি চেষ্টা করেছি তুলে ধরতে, ফাইভার মার্কেটপ্লেসে যাতে কাজ পান এবং গিগ ইম্প্রেশন যেন ঠিক থাকে:

১। আপনার গিগ যদি ক্লায়েন্টের রিস্পন্স না পেয়ে অবহেলায় পরে থাকে, তাহলে এডিট করা শুরু করে দিন। যেমন গিগ টাইটেল, থাম্বনেইল, গিগ ডেসক্রিপশন, সার্ভিস প্রাইসিং।

২। কি সার্ভিস দেবেন সেটার উপর কোন কোন কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন সেদিকে মনোযোগ দিন।

৩। যে সার্ভিসের উপর আপনার গিগ আছে সেটাতে মার্কেটে কি রকম কাজ মানুষ পাচ্ছে সে দিকটা দেখা উচিত।

৪। যেমন ধরুন ইমেইল টেমপ্লেট ডিজাইন লিখে সার্চ করে অনেকগুলো গিগ দেখতে পেলেন কিন্তু জব কমপ্লিট করেছে হাতে গোনা কয়েকজন। তাহলে ওই ক্যাটাগরিতে গিগ বানালে জব পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

৫। খুবই গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হচ্ছে, গিগ সার্ভিসটাকে আরো বেশি স্পেসিফাই করা। মানে ধরুন আপনি গিগ বানিয়েছেন ফ্লায়ার ডিজাইন এর উপর।  এই ধরণের গিগ অনেক পাবেন সার্ভিস ও দিচ্ছে অনেকেই। তাহলে আপনি কি করবেন ? ফ্লায়ার ডিজাইন কে আরো স্পেসিফাই করেন। যেমন সিঙ্গাল সাইড ফ্লায়ার ডিজাইন অথবা ডাবল সাইড ফ্লায়ার ডিজাইন।

৬। সব ক্লায়েন্ট টার্গেট করে গিগ বানানোর দরকার নেই। আপনার গিগ যখন একটা স্পেসিফিক কাজের জন্যই বানাবেন তখন ওই ক্লায়েন্ট সবার থেকে আলাদাভাবে আপনাকে পছন্দ করবে। এর সাথে আপনাকে এটাও ভাবতে হবে ক্লায়েন্ট ওই সার্ভিস এর জন্য সার্চ করছে কিনা।

৭। সোশ্যাল মিডিয়াতে গিগ শেয়ার করার থেকে ফাইবার অনলাইনে থাকাটা বেশি জরুরি । ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে অন রাখবেন।

৮। দেখা যায় যে ৩/৪ মিনিট পর আপনার ফাইভার প্রফাইলটি অফলাইনে চলে যায়।  তাই অনলাইনে থাকার জন্য আপনাকে ফাইভার ওয়েবসাইট রিলোড দিয়ে নিতে হবে। 

৯। যদি ক্লায়েন্ট মেসেজ করে তাহলে চেষ্টা করবেন তার কাছ জব আদায় করে নেয়া। কনভার্সন রেট কমে গেলে ক্লায়েন্টের রিপ্লাই পাওয়া টা আস্তে আস্তে কমে যেতে পারে । যেমন আপনাকে ১ সপ্তাহে ১০ জন বায়ার রিপ্লাই দিয়েছে। কিন্তু জব পেয়েছেন একটা বা কোনো জব ই পান নাই।  তাহলে কনভার্সন রেট কমে যাবে।

১০। গিগের ডেসক্রিপশন লিখতে অনেকেই ভুল করেন। গিগে নিজের পরিচয় না দিয়ে গিগের মাধ্যমে কি সার্ভিস দেবেন সেটাকে গুরুত্ব দিন। আর গুরুত্বপূর্ণ শব্দ গুলোকে বোল্ড করুন। সব ক্লায়েন্ট পুরো ডেসক্রিপশন না পড়লেও বোল্ড করা কথাগুলো চোখে পড়বে।

১১। গিগ থাম্বনেইল সাদামাটা না বানিয়ে চোখে পড়ার মতো করে ডিজাইন করুন। কন্টেন্ট আর ইমেজের সমন্বয়ে তৈরী করুন। আপলোড করার আগে আপনার গিগ টাইটেলটা থাম্বনেইল এর নামকরণ করুন।

১২। অনেকেই বলে গিগ এডিট করা যায়না, করলে রাঙ্কিং কমে যায় । একদমই ভুল কথা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাইজিং টেবিল টা আমাদের এডিট করতে হয়। শুরুতে কম বাজেটে কাজ করছেন এখন যদি মনে হয় প্রাইজ বাড়াবেন, তাহলে নিশ্চিন্তে বাড়িয়ে নিন। তবে কিওয়ার্ড এডিট করবেন না।

১৩। গিগে অর্ডার পেতে আপনার গিগ টাইটেলও এডিট করতে পারেন। 

ফরিদ রনি
মেন্টর , শিখবে সবাই