20k dollar freelancing earning

করোনা মহামারীতেও শিখবে সবাই এর শিক্ষার্থীরা আয় করেছেন প্রায় ২০ হাজার ডলার।

কোভিড’১৯ এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের জব সেক্টরে। লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকুরী হারাচ্ছে। আর যাদের চাকুরী আছে তাদের অধিকাংশই পাচ্ছেন না সম্পূর্ণ বেতন। একদিকে কোম্পানিগুলো নিরুপায়, অন্যদিকে এমপ্লয়িরা আছেন দোটানায়। তবে দিন দিন কাজের চাহিদা বেড়েই চলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে।

করোনা মহামারীর মধ্যেও শিখবে সবাই এর এপ্রিল এবং মে মাসে শিক্ষার্থীদের আয় যথাক্রমে ৯৬৭১ ডলার এবং ১০,১১০ ডলার। এ থেকেই নূন্যতম ধারণা পাওয়া যায় যে ফ্রিল্যান্সাররা বসে নেই। Shikhbeshobai.com ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে এখন সম্পুর্ন অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট এবং সাপোর্ট এর ব্যাবস্থা করেছে শিখবে সবাই।

এ পর্যন্ত শিখবে সবাই থেকে প্রায় ৭৬৪০ জনের বেশী শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্কিলের উপর প্রশিক্ষন নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী সফলভাবে বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন মার্কেটপ্লেসে সফলভাবে কাজ করছেন। শিখবে সবাই যে সকল স্কিলের উপর প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গ্রাফিক এন্ড ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, পিএইচপি এন্ড লারাভেল, ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম।

শিখবে সবাই ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে দক্ষতা উন্নয়নে। শিক্ষার্থীরা যেনো কাজ শিখে বিভিন্ন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে, এইভাবে তাদেরকে গড়ে তোলা হয়। প্রজেক্ট ভিত্তিক লার্নিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা কাজ শিখতে শিখতে নিজের পোর্টফলিও তৈরি করে নিতে পারেন, এতে করে তারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ভালো করতে পারেন।

শিখবে সবাই এর কো-ফাউন্ডার এবং হেড অফ এডুকেশন রাইয়ান সফওয়ান বলেন, “আগামী দিনগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। গতানুগতিক পড়াশুনার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচিত বিভিন্ন হার্ড স্কিল শেখার পিছনে সময় ব্যয় করা।”

সম্প্রতি আরেকটি গবেষণা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। 

– ৫৬ শতাংশ হায়ারিং ম্যানেজারদের মতে রিমোটলি কাজের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশী সাফল্য পাচ্ছেন। এবং ৬২ শতাংশ ম্যানেজার মনে করছেন, তাদের কাজ কারো বেশী রিমোট হবে কোভিড’১৯ পরবর্তী সময়ে।

– ৩২ শতাংশ ম্যানেজারের মতে রিমোট ওয়ার্ক কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়িয়ে তুলেছে।

– ৫৯ শতাংশ ম্যানেজার মনে করছেন, যাদের প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন কর্মী নেই, তারা কোভিড’১৯ পরবর্তী সময়ে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না।

– ৫৭ শতাংশ হায়ারিং ম্যানেজারের পছন্দ দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে প্রজেক্ট ভিত্তিক চুক্তি করে নেয়া, যাতে করে রিমোটলি সময়মতো কাজগুলো করিয়ে নেয়া যায়। 

– ৬১ শতাংশ ম্যানেজারের মতে, যারা সময়ের সাথে সাথে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে না, বিশেষ করে প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা রাখেন না, তারা চাকুরীর বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না।

কোভিড’১৯ এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের জব সেক্টরে। লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকুরী হারাচ্ছে। আর যাদের চাকুরী আছে তাদের অধিকাংশই পাচ্ছেন না সম্পূর্ণ বেতন। একদিকে কোম্পানিগুলো নিরুপায়, অন্যদিকে এমপ্লয়িরা আছেন দোটানায়। তবে দিন দিন কাজের চাহিদা বেড়েই চলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে।

শিখবে সবাই এর শিক্ষার্থীদের সাফল্য দেখুন শিখবে সবাই ফেইসবুক কমিউনিটি তে। https://www.facebook.com/groups/shikhbeshobai/